বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে “উন্নত জ্ঞান উন্নত চা” শ্লোগানকে সামনে রেখে “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” এর ব্যানারে করোনাকালেও জুম অ্যাপের মাধ্যমে “মানসম্মত চা প্রক্রিয়াজাতকরণ” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ মঙ্গগলবার অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ড আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত কর্মশালায় মূল রিসোর্স পার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখেন উক্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ক্রপ প্রোডাকশন) ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উত্তরাঞ্চলের চা বাগান, চা কারখানার ব্যবস্থাপক ও ক্ষুদ্র চা চাষিগণ সংযুক্ত ছিলেন।
এছাড়াও উক্ত ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পঞ্চগড়ের অর্গানিক চা বাগান কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেটের সিইও শোয়েব আহমেদ, পঞ্চগড় চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন, মৌলভীবাজারের নিউসমনবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী খান ও বান্দরবানের সিইচটি প্রকল্পের পরিচালক সুমন সিকদার সংযুক্ত ছিলেন। কর্মশালায় উত্তরাঞ্চলের চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসম্মত চা প্রক্রিয়াজাত করণের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।
করোনা মোকাবেলায় লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারের জনসমাগম নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি এর নির্দেশনায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বিগত ২০ অক্টোবর হতে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষিদের দোরগোড়ায় প্রশিক্ষণ সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” মডেলে মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়নভিত্তিক এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভিন্নধর্মী ছাদ ও দেয়াল বিহীন “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” উদ্যোগের/কর্মসূচীর আওতায় উত্তরাঞ্চলে ৫ জেলায় এ পর্যন্ত ৪১টি হাতেকলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহেই ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অব্যাহত থাকবে বলে চা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।