“ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” নামকরণের যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। চায়ের উদ্ভিদতাত্তিক বা বৈজ্ঞানিক নাম হলো “ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস”। সেই নাম থেকে জেনাস অংশটুকু নিয়ে ‘ক্যামেলিয়া’ এবং দেয়াল ও ছাদ বিহীন স্কুলের নামে ‘খোলা আকাশ স্কুল’ বা “Camellia Open Sky School” নামকরণ করা হয়েছে। এটি কোন কাব্যিক বা সাহিত্যিক নাম নয়। এটি কৃষকের চা সম্পর্কিত অজানা তথ্য জানার জন্য একটি স্কুল। এটি গতানুগতিক কোন স্কুল বা পাঠশালা নয়। এটি চা বাগানের পাশে খোলা ময়দানে খোলা আকশের নিচে ৪০-৫০ জন ক্ষুদ্র চা চাষিদের নিয়ে আয়োজিত একটি ছাদ ও দেয়াল বিহীন স্কুল। এ স্কুলে চায়ের জাত নির্বাচন, নার্সারী তৈরি, চারা রোপন, পাতা চয়ন, প্রুনিং, সেচ ও পানি নিষ্কাশন, সার প্রয়োগ ও পোকামাকড়-রোগবালাই দমন ইত্যাদি সম্পর্কে ক্ষুদ্র চাষিদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। উল্লেখ্য হাতেকলমে প্রশিক্ষণের জন্য ক্ষুদ্রায়তন চা চাষিদের নিজস্ব বাগানের আঙ্গিনা সবচেয়ে কার্যকরী ও উপযুক্ত স্থান। ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ ফ্রেমের স্কুলটি চা বাগান সংলগ্ন অংশের স্থানটিকেই নির্বাচন করে থাকে প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য। যাতে করে কৃষকদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় কিংবা অফিসে আসতে না হয়। ছাদ বিহীন এ স্কুল পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড অনেক ক্ষেত্রে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও বান্দরবানের অফিস স্থানীয় চাষিদের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত বেশী সাফল্য অর্জনকারী চাষিদের উক্ত স্কুল পরিচালনার জন্য উদ্বুদ্ধ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কয়েকটি বাগান নিয়ে ক্লাষ্টার করেও প্রশিক্ষণ পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।