দেশের উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র পর্যায়ের চা চাষিদের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান ও হাতেকলমে চা চাষ সম্পর্কে ধারনা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “এক্সটেনশন অব স্মল হোল্ডিং টি কাল্টিভেশন ইন নর্দান বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় (১৬-ফেব্রুয়ারি) থেকে চা চাষীদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের প্রশিক্ষণ শুরু হঢেছে।
হিমালয় কন্যাখ্যাত পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার ক্ষুদ্র চা চাষিদের নিয়ে “উন্নত জ্ঞান উন্নত চা” শ্লোগানকে সামনে রেখে “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” এর ব্যানারে “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদী ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী হাতেকলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আটোয়ারি উপজেলার ৬৫ জন ক্ষুদ্র চা চাষি অংশগ্রহণ করেন। উক্ত কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ জনাব মোঃ আমির হোসেন, উন্নয়ন কর্মকর্তা ও জনাব মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, সহকারী খামার তত্ত্বাবধায়ক, বাংলাদেশ চা বোর্ড, পঞ্চগড়।
দিনব্যাপি কর্মশালায় বক্তাগণ চায়ের জাত নির্বাচন, চারা রোপন, প্লাকিং, টিপিং, প্রুনিং, সার প্রয়োগ, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ও হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
কর্মশালার রিসোর্স পারসনগণ তাঁদের বক্তব্যে উত্তরাঞ্চলের চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চায়ের গুণগতমান উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি মহোদয়ের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ক্ষুদ্র চা চাষিদের দোরগোড়ায় প্রশিক্ষণ সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” মডেলে মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়নভিত্তিক এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র পর্যায়ের চাষিরা সঠিক উপায়ে চায়ের পাতা চয়ন, সার প্রয়োগ ও পোকামাকড়-রোগাবালাই দমনে সক্ষম হবে ও তাঁদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এতে সমতলে চা চাষের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হচ্ছে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।