বাংলাদেশ চা বোর্ড এর বাস্তবায়নাধীন “এক্সটেনশন অব স্মল হোল্ডিং টি কাল্টিভেশন ইন চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য “ উন্নত জ্ঞান উন্নত চা ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “ ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল ” এর মাধ্যমে করোনাকালে জুম অ্যাপের সাহায্যে “ চা আবাদীতে পোকামাকড় দমন পদ্ধতি” শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বান্দরবান অঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষিসহ পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩০ জন ক্ষুদ্র চা চাষী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেয়।
বান্দরবানস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের উর্ধ্বতন পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সিএইচটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সুমন সিকদার এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন। ভার্চুয়াল কর্মশালায় আরও সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আমির হোসেন,সহকারী খামার তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।
করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম,(এনডিসি, পিএসসি) এর নির্দেশনায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অব্যাহত রাখা হয়।
বান্দরবানস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের উর্ধ্বতন পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সিএইচটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সুমন সিকদার জানান, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম,(এনডিসি, পিএসসি ) এর উদ্ভাবন, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষিদের দোর গোড়ায় প্রশিক্ষণ সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল’ এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক এই ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে এবং আগামীতেও ভার্চুয়াল কর্মশালায় মাধ্যমে চা চাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হবে।